









বেহেশতের নারীদের নেত্রী -সবযুগের সেরা মানবী হযরত মা ফাতিমা (রাঃ) আমরা যারা মুসলমান তাদের নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। আমরা জানি না যে, আমরা কেন মুসলমান, ইসলাম ধর্ম কেন শ্রেষ্ঠ ধর্ম, আ’ল্লা’হ তা‘আলার প্রেরিত নবী-রাসূলগণ কেমন ছিলেন, আমরা কেন তাঁদের মেনে চলব অথবা আমরা কাদের মতো হব ইত্যাদি।





আমরা এগুলো সম্পর্কে যথাযথভাবে চিন্তা-ভা’ব’না করি না বলেই মনে হয়। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন জিনিস শেখাই। কাউকে গান শেখাই, কাউকে নাচ, কাউকে অভিনয়, কাউকে খেলাধুলা আবার কা’উ’কে অন্য কিছু।





অর্থাৎ গায়ক, নৃত্যশিল্পী, অভিনয় শিল্পী তৈরি করছি। বিশেষ করে নাচের ব্যাপারে বলা যায় যে, প্রাচীনকালে রাজা-বাদশারা তাদের বিনোদনের জন্য সঙ্গী-সাথী নিয়ে একটি ঘরের মধ্যে যে নাচ দেখতো সেটাই আ’ম’রা টিভিতে, মঞ্চে দেখতে পাচ্ছি।





অর্থাৎ আমরা কন্যাসন্তানদের যেন এক একজন নর্তকী বানাচ্ছি। ভদ্র ভাষায় যাকে ‘নৃত্যশিল্পী’ বলা হচ্ছে। যদি আমরা কোন ছোট ছেলে বা মেয়েকে জিজ্ঞেস করি, তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও। সে উত্তর দেয় যে, অমুক গায়কের মতো, অমুক নায়কের মতো, অ’মু’ক’ নৃত্যশিল্পীর মতো, অমুক খেলোয়াড়ের মতো হতে চাই। কেউ কি কখনও বলেছে,





আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মতো জীবন যাপন করতে চাই, বিশ্বের নারী জা’তি’র আদর্শ হযরত ফাতিমা (আ.)-এর মতো হতে চাই। না’, কদাচিৎ হয়ত তা শোন যায়। এটি তাদের দোষ নয়। এর জন্য আমরাই দায়ী। আমরা আমাদের সন্তানদের ছোট থেকেই অনেক গায়ক, নায়ক, খেলোয়াড়ের সাথে প’রি’চি’ত করিয়েছি।





কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (সা.) কিংবা হযরত ফাতিমা (আ.)-এর সাথে যেভাবে পরিচয় করানো উচিত ছিল সেভাবে পরিচয় করাইনি। আমরা হয়ত হযরত ফাতিমার নাম বলেছি, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর মেয়ে হিসাবে তাঁর পরিচয় দিয়েছি। কিন্তু কতটুকু এ পরিচয়?
























