









হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে স্ত্রীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে অবরু’দ্ধ করে রাখে স্থানীরা। শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রিসোর্টের ৫ম তলার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরু’দ্ধ করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উ’দ্ধার করে।





এ সময় মামুনুল হক দাবি করেন, সঙ্গে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়বা। তিনি মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।





রিসোর্টের খাতায় গেস্টের নামের স্থানে লেখা রয়েছে মো. মামুনুল হক ও আমিনা তৈয়বা। রুম নং ৫০১। এ সময় রিসোর্টে প্যাকেজ নেন উন্টার। রুম ভাড়া ৫ হাজার এবং খাবার খরচ ৩ হাজার টাকা।





এছাড়াও মামুনুল হকের এনআইডি কার্ডের কপিও পাওয়া যায়। রিসোর্টে প্রবেশের সময় লেখা হয় দুপুর ৩টা।এদিকে অবরু’দ্ধ থেকে মুক্ত হয়ে তিনি ফেসবুক লাইভে আসেন। এ সময় মামুনুল বলেন,





অনেকের মধ্যে আজকের ঘটনা নিয়ে উ’ত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেক বিভ্রা’ন্তিও হচ্ছে। মূলত আসল ঘটনা জানাতেই আমি ফেসবুক লাইভে এসেছি। আমার সাথে আমার বড় ভাই ও মেজ ভাইও আছেন।মামুনুল হক আরও বলেন, টানা পরিশ্রমের কারণে আমার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। এ কারণে আজ সেখানে গিয়েছিলাম। সাথে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল। পুলিশ আমার থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। আমার দ্বিতীয় স্ত্রী আমার এক ঘ’নিষ্ঠ বন্ধুর সাবেক স্ত্রী ছিলেন। তাদের দুটি সন্তানও আছে। এরপর পারিবারিকভাবে আমি তাকে বিয়ে করি।





তিনি বলেন, সেখানে স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মীদের সাথে কিছু যুবলীগ ও সরকারদলীয় লোক আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। তারা লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে হা’মলা ও আ’ক্রমণ করেছেন। দেশের মানুষ আমার বক্তব্য সেখানেও শুনেছে ও দেখেছে। এরপর সেসব ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ওই রিসোর্টে এসে আমাকে উ’দ্ধার করে আমি জনতাকে শান্ত করি ও তাদের নিয়ে উক্ত স্থান ত্যাগ করি। আমি আহ্বান করব এই বিষয় নিয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। সবাই শান্ত থাকুন। জানমালের ক্ষ;তি হয় এমন কোনো কাজ করবেন না। এটাই আমার অফিসিয়াল বক্তব্য।
























