









রা’ক্ষু’সে স্বভাবের কারণে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারও পিরানহা মাছের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি বাংলাদেশে নি’ষি’দ্ধ করেছে। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পিরানহা মাছ চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধি, বাজারে বিক্রি এবং বাজার থেকে ক্রয় সরকারিভাবে সম্পূর্ণ নি’ষি’দ্ধ করা হয় এবং ২০১৪ সালের জুন থেকে আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন, বিপণনের ওপর নিষেধা’জ্ঞা আরোপ করা হয়।





মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্র’জ্ঞা’পন জারি করে এই নিষে’ধা’জ্ঞা আরোপ করে।প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস, ১৯৮৫ এর কয়েকটি ধারা সংশো’ধন করে আফ্রিকান মাগুরের ওপর এ নি’ষেধা’জ্ঞা জারি করা হয়। এছাড়া বিদেশ থেকে আফ্রিকান মাগুর ও পিরানহা মাছ, মাছের রেণু ও পোনা আমদানি করলে জে’ল জরিমানার বি’ধান রেখে মৎস্য সং’ঘ নি’রো’ধ আইন-২০১৭ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ।





এই আইন অ’মান্য করলে দুই বছরের জে’ল ও ৫ লাখ টাকা জ’রিমা’না অথবা উভয় দ’ণ্ডের বি’ধান রাখা হয়েছে। কারণ এই দুই প্রজাতির মাছ চাষের ফলে দেশি প্রজাতির মাছ বি’লু’প্ত হয়ে যেতে পারে। কোনওভাবে যদি পুকুর বা অব’রু’দ্ধ জলাশয় থেকে এই মাছ দুটি নদীতে বা মু’ক্ত জ’লাশ’য়ে চলে আসে তাহলে বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের জন্য ম’হাবি’প’র্যয় ডেকে আনতে পারে।





এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশ বন্যা প্রবণ দেশ। এখন পুকুরে বা ঘেরে যদি পিরানহা মাছ বা আফ্রিকান মাগুর মাছ চাষ করা হয়। এবং সেই মাছ যদি পানিতে ভেসে অবরু’দ্ধ স্থান থেকে মু’ক্ত জ’লাশয় যেমন নদী, খাল বিলে চলে আসে। তখন তাদের আ’ক্র’মণে দেশীয় ছোট বড় সব মাছ বি’লু’প্ত হয়ে যেতে পারে।”





কিন্তু বাংলাদেশে এখনও এসব মাছ প্রকাশ্যেই উৎপাদন ও খোলা বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায়। যা বেশিরভাগ সময় থাই রূপচাঁদা বা সামুদ্রিক চান্দা নামে বিক্রি হয়। এর ছোট আকারের আফ্রিকান মাগুর মাছ, দেশি মাগুর মাছ বলে বিক্রি হতে দেখা যায়।দামে কম হওয়ায় সেইসঙ্গে অন্য মাছের নামে বিক্রি করায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। মূলত এই মাছ খেলে কোনও স্বাস্থ্য ঝুঁ’কি নেই তবে পরিবেশগত ঝুঁ’কি রয়েছে অনেক। এমনটাই জানিয়েছেন মাহমুদ।





তিনি আশ’ঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পিরানহা মাছ ও আফ্রিকান মাগুর মাছের উৎপাদন, বিপণন, বিক্রি ও সংরক্ষণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা না গেলে বাংলাদেশের ২৬০ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ এবং ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ অধিকাংশ বি’লু’প্ত হয়ে যাবে।





























